ড: এরিক বার্গ (যাকে আমি খুব ফলো করি) তার পহেলা এপ্রিলে দেয়া য়ুটিউব ভিডিওতে কিছু গুড নিউজ দিয়েছেন। আমি পয়েন্ট আকারে সেগুলো তুলে ধরলাম। ভিডিও প্রথম কমেন্টে।
১. চীনে শেষ টেম্পোরারি হসপিটালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পর পর দুদিন চায়নায় কেবল ১টি করে সংক্রমনের কেইস পাওয়া গেছে।
২. চীনের ৯০% – ৯৫% ম্যানুফ্যাকচারিঙ কম্পানিগুলো কিছু ক্যাপাসিটিতে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। ৬৫%-৭০% চাইনিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন চালু হয়েছে। ৭০% করোনা ভাইরাস রোগী এখন পুরোপুরি সুস্থ।
৩. ইতালির কডোনিয়া শহর – ইতালির সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত দুটি জায়গার একটি – সেখানে এখন সংক্রমন অনেক কমে এসেছে। একসময় সেখানে দিনে ৩৫টি সংক্রমণের কেইস পাওয়া যেত – এখন তা ৫-এ চলে এসেছে।
৪. হংকং ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কোলাবরেশনে একটি এক্সপার্ট টিম নেচার মেডিসিন জার্নালে জানিয়েছে যে করোনা ভাইরাস থেকে মৃত্যুর হার ৩% নয় – যা আগের এস্টিমেশন ছিলো – বরং ১.৪%।
৫. ক্লোরোকুইন – যা আগে ম্যালেরিয়ার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হোত তার কিছু ডিরাইভেটিভ চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও এখন অ্যামেরিকায় ব্যবহৃত হচ্ছে অনেকটা সফল ভাবে। ক্লোরোকুইন জিংককে কোষে ঢুকতে সাহায্য করে এবং জিংক করোনাভাইরাসের প্রজননকে বন্ধ করে।
৬. ১০৩ বছরের একজন চীনা বৃদ্ধা পুরোপুরি সুস্থতা অর্জন করেছেন।
৭. অ্যাপ্ল চীনে ৪২টি স্টোর রিওপেন করেছে।
৮. দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ বহুলাংশে কমে গেছে।
৯. অ্যামেরিকার মেরিল্যান্ডে (যেখানে ড. বার্গ কাজ করেন) ৩ জন রোগী নিরাময় লাভ করেছেন। ওকলাহোমার টুলসাতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছেন। (ড. বার্গ এসময় বলেন যে এই তথ্যগুলো তিনি দিচ্ছেন কেননা টিভি বা রেডিও খুললেই কেবল নেগেটিভ মৃত্যু সংবাদগুলো দেয়া হয়, কিন্তু আরোগ্য লাভের কাহিনীগুলো বলা হচ্ছে না)।
১০. নয়াদিল্লীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ৭ জন করোনা রোগীর প্রত্যেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
১১. একটি নতুন জার্নাল পেপার এসেছে (যেটা নিয়ে ড. বার্গ একটি আলাদা ভিডিও করবেন) যার ফাইন্ডিংসে বলা হচ্ছে যে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা যত বৃদ্ধি পায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তত কমে আসে।
১২. দি নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের একটি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
Asif Shibgat Bhuiyan.